Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2020

পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ আইন

পশু জবাই নিয়ন্ত্রণ ও জনসাধারণের জন্য মানসম্মত মাংস প্রাপ্তি নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে এবং তদসংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যেহেতু পশু জবাই ও জনসাধারণের জন্য মানসম্মত মাংস প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়: সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল: সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন ১। (১) এই আইন পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১১ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে। সংজ্ঞা ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অফাল’’ (Offal) অর্থ জবাইকৃত পশুর কারকাস ব্যতীত ভক্ষণযোগ্য ও ভক্ষণঅযোগ্য অংশ, যথাঃ- যকৃত, ফুসফুস, বৃক্ক, মস্তিস্ক, চর্বি, হাড়, নাড়িভূঁড়ি ইত্যাদি; (২) ‘‘উপযুক্ত চিকিৎসক’’ অর্থ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেডিকেল অফিসার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন মেডিকেল অফিসার যিনি Medical and Dental Council Act,1980এরsection 2(b)তে সংজ...

পুলিশ পেট্রোল বা পুলিশ টহল কত প্রকার ও কি কি?

পেট্রোল ডিউটি পুলিশ অফিসারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি। পুলিশ পেট্রোল ডিউটিকে সাধারণ ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এ গুলোর বর্ণনা করা হলোঃ ১। ফুট পেট্রোলঃ পায়ে হেঁটে নির্ধারিত স্থানে পাহারা দেয়াকে ফুট পেট্রোল বলে। ২। মোবাইল পেট্রোলঃ গাড়ীতে চড়ে নির্দিষ্ট এলাকা পাহারা দেয়াকে মোবাইল পেট্রোল বলে। ৩। বোট পেট্রোলঃ নৌকা, লঞ্চ বা স্পীড বোটে চড়ে নদী বা হাওরে পাহারা দেয়াকে বোট পেট্রোল বলে। ৪। ফিক্সড পেট্রোলঃ রাস্তার সংযোগস্থলে, হাটে, বাজারে, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়াকে ফিক্সড পেট্রোল বলে। ৫। ব্লক পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট স্থান ঘেরাও করে ঐ স্থানের জনগণের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে ব্লক পেট্রোল বলে। ৬। এ্যাম্বুস পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় গোপনভাবে চুপচাপ বসে থেকে পথিকের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে এ্যাম্বুস পেট্রোল বলে। ৭। ক্লক ওয়াইজ ও এন্টি ক্লক ওয়াইজ পেট্রোলঃ ঘড়ির কাটা যেভাবে ঘোরে ঐভাবে যথা “ক” সেন্টার হতে এক পার্টি পেট্রোল করতে করতে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌছবে এবং ঐ পার্টি পথিমধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি পেলে চ্যালেঞ্জ করবে ও প্রয়োজনে গ্রেফতার করবে। অন্য কোন পার্টি ঐ “ক” স...

ভুমিস্বত্ব বা জমির মালিকানা বুঝতে হলে যিনি জমির মালিক বলে দাবি করছেন তার নামে

১। রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল থাকতে হবে অথবা আদালত ঘোষিত স্বত্ব থাকতে হবে অথবা প্রজাই খতিয়ান থেকে ধারাবাহিক পর্চা সমূহে (সি,এস,এস,এ,আর,এস) বংশানুক্রমিক নাম থাকবে । ২। নাম খারিজ করা থাকতে হবে । ৩। হালসন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ থাকতে হবে । ৪। দলিলে উল্লেখিত জমি বাস্তবে থাকতে হবে । ৫। দলিলে উল্লেখিত জমি দখলে থাকতে হবে । কখনো কখনো জাল বা নকল দলিল দেখিয়ে জমি বিক্রয় করা হয়। সে ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রি অফিসে বর্তমান জমির মালিক কার কাছ থেকে জমিটা পেয়েছেন বা ক্রয় করেছেন সে বিষয়ে খোজঁ খবর নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।                বি.দ্রঃ নিজে জানুন এবং শেয়ার করে                অন্যদেরও জানতে সহযোগিতা করুন।      

বিষয়সমূহ- #ধর্ষণ কাকে বলে? #ধর্ষণের শাস্তি #নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ( ২০০০ সনের ৮ নং আইন ) ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি #পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষনের সাজা #ধর্ষিত হলে প্রাথমিকভাবে কি করণীয়? #ধর্ষণের মূহুর্তে নিজেকে রক্ষা করার উপায় সমূহ #ধর্ষণকারীকে রাসায়নিক প্রয়োগে যৌন সক্ষমতা নষ্টের আইন পাস! #সবশেষে কিছু কথা-

#ধর্ষণ কাকে বলে? উত্তরঃ- দন্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা মোতাবেক নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় পুরুষ লোক কোন নারী বা স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে- ১।স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরোদ্ধে। ২। স্ত্রী লোকটির সম্মতি ব্যতীত। ৩।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই, কিন্তু মৃত্যুর বা জখমের ভয় ভীতি দেখিয়ে সম্মতি আদায় করা হলে। ৪।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই,কিন্তু পুরুষ টি জানে যে সে স্ত্রী লোকটির স্বামী নয়। স্ত্রী লোকটি জানে পুরুষ টি তার স্বামী, এ ভেবে স্ত্রী লোকটি ভূল করলে। ৫।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই কিংবা সম্মতি ব্যতীত যদি স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছরের কম হয়। #ধর্ষণের শাস্তি: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৮৬০ আইনের ৩৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ধর্ষণের অপরাধ করে তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং জরিমানা দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।’ দণ্ডবিধি অনুসারে ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ যা আমলযোগ্য কিন্তু জামিনযোগ্য নয়। এমনকি এটি মীমাংসারযোগ্যও নয়। নারী ধর্ষণ দন্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা। ধর্ষণের শাস্তি দন্ডব...

পুলিশ গাড়ি আটক করলে কী করণীয় ?

মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে- অনেকেই আছেন যারা ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে বিরক্ত বোধ করেন বা মাথা গরম করে ফেলেন। এটা করা অনুচিত নয়। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়ি এবং ড্রাইভারের কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা প্রয়োজনবোধে চেকিং করার ক্ষমতা রাখেন। অনেকে গাড়ি আটক করলে বা পুলিশ চেকিং এর জন্য থামালে ঘাবড়ে যান। ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। পুলিশ যেসব কাগজপত্র দেখতে চায় সেসব কাগজপত্র দেখান। তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন এবং সহযোগিতা করুন। মামলার রসিদ বুঝে নিন- আপনার গাড়ির কাগজপত্র কোন সমস্যা থাকলে বা ট্রাফিক আইন অমান্য করলে পুলিশ আপনার গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করে রেখে দিবেন। এবং আপনাকে একটি মামলার রসিদ দেয়া হবে। মামলার রসিদের সবকিছু ভালোভাবে বুঝে নিন। কোন কারণে মামলা দেয়া হলো। কত টাকার মামলা দেয়া হলো। কে মামলা দিলো, কোথায় জরিমানা প্রদান করতে হবে। এই সবকিছুই জরিমানা বা মামলার রসিদে উল্লেখ করা আছে কিনা দেখে নিন সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ অফিসে যোগাযোগ- মামলা প্রদানের সময় জরিমানার যে রশিদ দেয়া হয়, সেই রশিদের মধ্যে লিখা থাকে কবে কোথায় গিয়ে জরিমানা প্রদান করে জব্দ করা কাগজ ছাড়িয়ে আনতে হয়। রশিদে উল্লেখিত তারিখ সময় এবং অফি...

বিভিন্ন ধরনের দন্ড ও উদ্দেশ্যঃ

▪দন্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী নিম্নোক্ত পাঁচ ধরনের দন্ডে দন্ডিত করা যায়-              (০১) মৃত্যুদন্ড                      (Death sentence )                (০২) যাবজ্জীবন কারাদন্ড                      (Life imprisonment)                          (০৩) কারাদন্ড                      (Imprisonment)                          (০৪) সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ                      (Forfeiture of property)                           (০৫) অর্থদন্ড                   ...