Skip to main content

পারিবারিক সমস্যা নিয়ে মামলা করবেন যেভাবে।

পারিবারিক সমস্যাদি সমাধানের জন্য মামলা করতে হবে পারিবারিক আদালতে। প্রত্যেক জেলায় পারিবারিক আদালত আছে। পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫’র ৬ ধারার বিধান অনুসারে এরূপ মামলা করার কারণ যে জেলায় উদ্ভব ঘটবে সে জেলার আদালতে মামলা করা যাবে, স্বামী ও স্ত্রী সর্বশেষ একত্রে যে জেলায় বসবাস করেছেন সে জেলার আদালতে এবং সর্বোপরি মােহরানা, খােরপােষ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার ও বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করছেন সে এলাকার পারিবারিক আদালতে করতে পারবেন।

পারিবারিক আদালতের উদ্দেশ্যঃ-
অল্প সময়ে ও অল্প খরচে নারীদের অধিকারের বিষয়াদি দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে এ আইন প্রবর্তন করা হয়েছে।

পারিবারিক আদালতঃ-
জেলা সদরে অবস্থিত প্রতিটি উপজেলার জন্য নির্ধারিত সহকারী জজ আদালতই পারিবারিক আদালত। পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠার পূর্বে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে এ সকল বিষয়ের বিচার অনুষ্ঠিত হতাে। বর্তমানে উপরােক্ত বিষয়ে বিচার করার এখতিয়ার শুধুমাত্র পারিবারিক আদালতের ।

পারিবারিক_আদালতের এখতিয়ারঃ-
মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১'র বিধান অনুসারে পারিবারিক আদালত নিম্নেক্ত ৫টি বিষয়ের বিচার করে থাকেনঃ
(ক) বিবাহ বিচ্ছেদ
(খ) দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার
(গ) দেনমােহর
(ঘ) খােরপােষ এবং
(ঙ) শিশু সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান।

সমন ও নােটিস খরচঃ-
পারিবারিক আদালতে মামলা দায়েরের সময় আর্জির সাথে। মামলার নােটিস ও সমন জারীর খরচ আদালতে দাখিল করতে হবে।

আপােষ ও বিচার ব্যবস্থাঃ-
পারিবারিক আদালতের একটি প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে পক্ষদের মধ্যে আপািস-মিমাংসার চেষ্টা করা। আদালতের উদ্যোগে আপােসের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে আদালত সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু করবেন। আদালত উপযুক্ত মনে করলে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার অনুষ্ঠিত করবেন।

রায় ও ডিক্রীঃ-
আপােসের মাধ্যমে বিরােধের সমাধান করা না গেলে আদালত লিখিত রাং ও ডিক্রী দানের মাধ্যমে বিচার সমাপ্ত করবেন। আদালত ডিক্রীর টাকা কিস্তিতে পরিশােধের আদেশ দিতে পারেন। বিবাদীকে ডিক্রীর টাকা অনাদায়ে ৩ মাস বা টাকা। পরিশােধ না করা পর্যন্ত সময়ের জন্য কারাদণ্ড দিতে পারেন।

আপিলের বিধানঃ-
পারিবারিক আদালতের রায়, ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা। যাবে জেলা জজের আদালতে। আপিলের সময়সীমা আদেশ বা রায় প্রদানের তারিখ হতে ৩০ দিন। মােহরানা ৫০০০ টাকার বেশী না হলে তার বিরুদ্ধে আপিল চলবে না।

কোট ফিঃ-
পারিবারিক আদালতে মামলা দায়েরের জন্য কোর্ট ফি লাগবে ২৫ টাকার, প্রসেস ফি ২ টাকা, ওকালতনামা ৫ টাকা এবং নােটিস ও সমন জারীর ডাক খরচ ৮ টাকা। মােট ৪৫ টাকা।

Comments

Popular posts from this blog

''খতিয়ান'' কি?

খতিয়ানঃ মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।  = সি এস খতিয়ানঃ ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত। . =এস এ খতিয়ানঃ ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় ব...

পুলিশ পেট্রোল বা পুলিশ টহল কত প্রকার ও কি কি?

পেট্রোল ডিউটি পুলিশ অফিসারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি। পুলিশ পেট্রোল ডিউটিকে সাধারণ ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এ গুলোর বর্ণনা করা হলোঃ ১। ফুট পেট্রোলঃ পায়ে হেঁটে নির্ধারিত স্থানে পাহারা দেয়াকে ফুট পেট্রোল বলে। ২। মোবাইল পেট্রোলঃ গাড়ীতে চড়ে নির্দিষ্ট এলাকা পাহারা দেয়াকে মোবাইল পেট্রোল বলে। ৩। বোট পেট্রোলঃ নৌকা, লঞ্চ বা স্পীড বোটে চড়ে নদী বা হাওরে পাহারা দেয়াকে বোট পেট্রোল বলে। ৪। ফিক্সড পেট্রোলঃ রাস্তার সংযোগস্থলে, হাটে, বাজারে, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়াকে ফিক্সড পেট্রোল বলে। ৫। ব্লক পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট স্থান ঘেরাও করে ঐ স্থানের জনগণের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে ব্লক পেট্রোল বলে। ৬। এ্যাম্বুস পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় গোপনভাবে চুপচাপ বসে থেকে পথিকের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে এ্যাম্বুস পেট্রোল বলে। ৭। ক্লক ওয়াইজ ও এন্টি ক্লক ওয়াইজ পেট্রোলঃ ঘড়ির কাটা যেভাবে ঘোরে ঐভাবে যথা “ক” সেন্টার হতে এক পার্টি পেট্রোল করতে করতে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌছবে এবং ঐ পার্টি পথিমধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি পেলে চ্যালেঞ্জ করবে ও প্রয়োজনে গ্রেফতার করবে। অন্য কোন পার্টি ঐ “ক” স...

বিষয়সমূহ- #ধর্ষণ কাকে বলে? #ধর্ষণের শাস্তি #নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ( ২০০০ সনের ৮ নং আইন ) ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি #পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্ষনের সাজা #ধর্ষিত হলে প্রাথমিকভাবে কি করণীয়? #ধর্ষণের মূহুর্তে নিজেকে রক্ষা করার উপায় সমূহ #ধর্ষণকারীকে রাসায়নিক প্রয়োগে যৌন সক্ষমতা নষ্টের আইন পাস! #সবশেষে কিছু কথা-

#ধর্ষণ কাকে বলে? উত্তরঃ- দন্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা মোতাবেক নিম্নলিখিত পাঁচটির যে কোন অবস্থায় পুরুষ লোক কোন নারী বা স্ত্রী লোকের সহিত যৌন সহবাস করলে সে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে- ১।স্ত্রী লোকটির ইচ্ছার বিরোদ্ধে। ২। স্ত্রী লোকটির সম্মতি ব্যতীত। ৩।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই, কিন্তু মৃত্যুর বা জখমের ভয় ভীতি দেখিয়ে সম্মতি আদায় করা হলে। ৪।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই,কিন্তু পুরুষ টি জানে যে সে স্ত্রী লোকটির স্বামী নয়। স্ত্রী লোকটি জানে পুরুষ টি তার স্বামী, এ ভেবে স্ত্রী লোকটি ভূল করলে। ৫।স্ত্রী লোকটির সম্মতি ক্রমেই কিংবা সম্মতি ব্যতীত যদি স্ত্রী লোকটির বয়স ১৪ বছরের কম হয়। #ধর্ষণের শাস্তি: বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৮৬০ আইনের ৩৭৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ধর্ষণের অপরাধ করে তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে অথবা দশ বছর পর্যন্ত যেকোন মেয়াদে সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং জরিমানা দণ্ডেও দণ্ডিত হবে।’ দণ্ডবিধি অনুসারে ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ যা আমলযোগ্য কিন্তু জামিনযোগ্য নয়। এমনকি এটি মীমাংসারযোগ্যও নয়। নারী ধর্ষণ দন্ডবিধি আইনের ৩৭৫ ধারা। ধর্ষণের শাস্তি দন্ডব...