Skip to main content

মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসায় সবাই একত্রে জয়ী হয়

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘মামলায় একপক্ষ জিতে অন্যপক্ষ হারে। মামলায় যুক্তিতর্ক দিয়ে আইনজীবী বক্তব্য উপস্থাপন করে। অন্যদিকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে (এডিআর) সবাই মন খুলে কথা বলতে পারে। তাই মেডিয়েশনের (মধ্যস্থতা) মাধ্যমে কোন বিরোধ মীমাংসা হলে সবাই একত্রে বিজয়ী হয় বা পরাজিত হয়।
আইন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় ধাপে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালা শুরু হয়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘মামলায় শুধু আমি ব্যবহার হয়। মেডিয়েশনে ব্যবহার আমরা। অর্থাৎ পুরো একটি কমিউনিটি। এখানে সোশ্যাল হারমনি থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত ক্ষমাও পায়। কিন্তু মামলায় শাস্তিও হতে পারে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আপিলের সুযোগ থাকে। কিন্তু মেডিয়েশনে আপিলের সুযোগ নেই। সবাই এটা মেনে নেয়।
বক্তব্যের সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তিন শিক্ষার্থীকে দিয়ে নাটিকার দ্বারা একটি পারিবারিক বিরোধ মেডিয়েশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তিও করে দেখান।
মেডিয়েশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও সার্টিফায়েড মেডিয়েটর (আইআইএএম) অ্যাডভোকেট সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ‘ইন্ট্রোডাকশন টু ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন অ্যান্ড মেডিয়েশন’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব আরবিট্রেটর্স (ইউকে) এর কোর্স ডিরেক্টর ইনবাভিজান, আন্তর্জাতিক মেডিয়েটর কে এস শর্মা ও অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর ইরাম মজিদ। সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের বিভিন্ন বার থেকে ২০ জন ডেলিগেট এই বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন।
ইত্তেফাক/কেআই

Comments

Popular posts from this blog

ফৌজদারি মামলা ?

কোন আদালতে ফৌজদারি মামলা পরিচালিত হয়? √সাধারন ভাষায় কোন ব্যক্তিকে যখন মারামারি, চুরি,ডাকাতি,খুন, যখম, প্রতারনা, দস্যুতা, রেইপ, অপহরণ, বে-আইনি সমাবেশ, ইভ-টিজিং , জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্যদান প্রভুতি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্বে মামলা দায়ের করা হয় তাকে বলে ফৌজদারি মামলা ক্রিমিনাল কেস। পেনাল কোডে অপরাধ এবং এর শাস্তির পরিমাণ উল্লেখ আছে কিন্তু কিভাবে অপরাধিকে শাস্তি দেয়া হবে তার কথা উল্লেখ আছে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ বা ফৌজদারি কার্যবিধিতে। ব্যাপক ভাবে ক্রিমিনাল আদালত তিনভাগে বিভক্ত: (ধারা-৬) ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার ব্যতিত যেকোনো অপরাধ ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ব্যক্তির জীবন হরণ, অর্থসম্পদ লুটপাট ও যৌন হয়রানির অপরাধে ফৌজদারি মামলার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এক কথায় চুরি, ডাকাতি, খুন, জখম, প্রতারণা, দস্যুতা, লুটপাট, বিস্ফোরণ, ধর্ষণ, অপহরণ, বেআইনি সমাবেশ, যৌন হয়রানি, জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান প্রভৃতি অপরাধে যেসব মামলা দায়ের করা হয় তাকে ফৌজদারি মামলা বলা হয়। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে জেল জরিমানা...

প্লাস্টিকের পাত্রে গরম চা হয়ে ওঠে বিষাক্ত খাবার!

আমাদের আড্ডায় অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে চা-কফি। রাস্তার পাশের ছোট চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রেস্তোরায় চা-কফির পেয়ালা হিসেবে প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ানটাইম গ্লাস বেশ জনপ্রিয়। চা কফি, গরম স্যুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন তরল খাবার আমরা খেয়ে থাকি এই সব প্লাস্টিক সামগ্রিতে। ক্রেতারা নিজের মতো বহন করতে পারেন, আর বিক্রেতারা সহজলভ্যতার কারনে এসব প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ক্ষতিকারক দিকটি জানা আছে কি? চিকিৎসকরা বলছেন এই প্লাস্টিকের সামগ্রীতে গরম তরল খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ থেকে অনেক জটিল জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্লাস্টিকের পাত্রে গরম খাবার খাওয়া একদমই ঠিক না। হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকী, স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রানু কমে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা বিসফেনল-এ নামের টক্সিক এ ক্ষেত্রে বড় ঘাতক। গরম খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ওই রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মেশে। এটি নিয়মিত শরীরে ঢুকলে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হয়। প্লা...

পুলিশ পেট্রোল বা পুলিশ টহল কত প্রকার ও কি কি?

পেট্রোল ডিউটি পুলিশ অফিসারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি। পুলিশ পেট্রোল ডিউটিকে সাধারণ ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এ গুলোর বর্ণনা করা হলোঃ ১। ফুট পেট্রোলঃ পায়ে হেঁটে নির্ধারিত স্থানে পাহারা দেয়াকে ফুট পেট্রোল বলে। ২। মোবাইল পেট্রোলঃ গাড়ীতে চড়ে নির্দিষ্ট এলাকা পাহারা দেয়াকে মোবাইল পেট্রোল বলে। ৩। বোট পেট্রোলঃ নৌকা, লঞ্চ বা স্পীড বোটে চড়ে নদী বা হাওরে পাহারা দেয়াকে বোট পেট্রোল বলে। ৪। ফিক্সড পেট্রোলঃ রাস্তার সংযোগস্থলে, হাটে, বাজারে, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়াকে ফিক্সড পেট্রোল বলে। ৫। ব্লক পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট স্থান ঘেরাও করে ঐ স্থানের জনগণের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে ব্লক পেট্রোল বলে। ৬। এ্যাম্বুস পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় গোপনভাবে চুপচাপ বসে থেকে পথিকের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে এ্যাম্বুস পেট্রোল বলে। ৭। ক্লক ওয়াইজ ও এন্টি ক্লক ওয়াইজ পেট্রোলঃ ঘড়ির কাটা যেভাবে ঘোরে ঐভাবে যথা “ক” সেন্টার হতে এক পার্টি পেট্রোল করতে করতে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌছবে এবং ঐ পার্টি পথিমধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি পেলে চ্যালেঞ্জ করবে ও প্রয়োজনে গ্রেফতার করবে। অন্য কোন পার্টি ঐ “ক” স...