Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2019

মেঝে ও খাটের আইনি লড়াই শেষ

শহিদুল আলম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এ বছরের ৫ আগস্ট। প্রথমে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে প্রথম শ্রেণির বন্দিসুবিধা দেয়নি ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের তিন মাননীয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে একটা গুরুত্বপূর্ণ আইনি লড়াই শেষ হয়েছে। রায় হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের পক্ষে। উচ্চতম আদালতের রায় বা সেই আদালতে আইনি লড়াই মোটেই হাসি-তামাশার ব্যাপার নয়। উচ্চ আদালতে কঠিন ও জটিল আইনি বিষয়ে ব্যাখ্যা ও সুরাহা হয়। তবে সব সময় এই আইনি লড়াইগুলোকে খুব সিরিয়াসলি নিলে আইন রসকষবিহীন শুষ্ক ব্যাপারে পরিণত হতে পারে। আইনের ছাত্রছাত্রী ও তরুণ আইনজীবীরা ভয়ে আইন পেশা থেকে দূরে সরে যেতে পারেন। তবে বলা বাহুল্য, আইন নাচ-গানে ভরপুর ঢালিউডের সিনেমার মতো উপভোগ্য কোনো ব্যাপার নিশ্চয়ই নয়। তাই আইন নিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু হাসি-তামাশার দরকার আছে। সেই উপলব্ধি থেকেই আজকের এই রম্য বয়ান। আলোকচিত্রী কারাবন্দী শহিদুল আলম কারাগারের মেঝেতে ঘুমাবেন, না খাটে ঘুমাবেন—এ নিয়ে বিরাট আইনি লড়াই। আগ...

পদক পাচ্ছেন সব রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপার

একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার পুরস্কার হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ পদক দেওয়া হচ্ছে পুলিশের সব রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সরকার প্রস্তাব অনুমোদন করলে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় দেশের সব জেলার পুলিশ সুপারকে ইতোমধ্যে প্রশংসাপত্র দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, অন্যান্য জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপেক্ষাকৃত কম হতাহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তা ছাড়া সহিংসতাও তুলনামূলক অনেক কম হয়েছে। এ কৃতিত্ব অবশ্যই পুলিশের। তিনি আরও বলেন, এর উপহার হিসেবে সব রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের পদক দেওয়ার জন্য প্রস্তাব আসছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সদর দপ্তরে এ ব্যাপারে করণীয় নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত...

পটুয়াখালীতে ইয়াবাসহ পিতা-পুত্র আটক

পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে ৮৪০ পিস ইয়াবাসহ বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- মহিপুর ডকইয়ার্ডের মিস্ত্রী আনোয়ার এবং তার ছেলে মহিপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে মাহফুজ নামক এক কিশোরকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী মহিপুর বন্দরে তাদের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে স্কুলব্যাগ থেকে আরও ৭৯০ পিস ইয়াবাসহ বাবা আনোয়ারকে (৪০) আটক করা হয়। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

দুদক হটলাইনে অভিযোগ, অভিযানে ঘুষের টাকাসহ রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

   চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘুষের টাকাসহ একজন রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালনার পর দুদকের দলটি রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার কর্মকর্তার নাম নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) পদে কর্মরত। অভিযানের সময় কাস্টম হাউসের নিচতলায় তাঁর কক্ষের স্টিল আলমিরা খুলে ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদকের কর্মকর্তারা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এই টাকা জব্দ করা হয়। দুদক জানায়, সমুদ্রগামী জাহাজের ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন–১০৬) অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী জাহাজ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। এরপরই দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন। দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ ও মো. হুমায়ুন কবীর। দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাজস্ব আদায়ের...

গত বছর মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক : আসক

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দাবি করেছে, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোর অগ্রগতির ধারা ২০১৮ সালে অব্যাহত থাকলেও মানবাধিকারের আরেকটি সূচক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। বিগত বছরগুলোর মতো ২০১৮ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আসকের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। এখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসকের উপপরিচালক নীনা গোস্বামী ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছরজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিশেষ করে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময় ও গুম-গুপ্তহত্যার ঘটনা অব্যাহত ছিল। বিশেষত গত বছরের মে মাস থেকে শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধে দেশজুড়ে ২৯২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় ছিল বেআইনি আটক, গণগ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর মতো ঘটনা।

হংকংয়ের আইন পরিষদে বাংলাদেশী তরুণী, হতে চান আইনপ্রণেতা

মাত্র ২০ বছর বয়সে হংকংয়ের আইন পরিষদে সহযোগী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশী তরুণী বকর ফারিহা সালমা দিয়া বাকের; যিনি একদিন সেখানকার আইনপ্রণেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফারিহা বলেন, আমি সংখ্যালঘুদের মধ্য থেকে এসেছি এবং আমার বয়স মাত্র ২০, এটা দেখে আমার সহকর্মীরা হতবাক হয়ে গিয়েছিল। ভিনদেশের মানুষদের হংকংয়ের মূলস্রোতের অংশ হতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। বাণিজ্য নগরীটিতে যারা সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচিত হন, স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে বাসাভাড়া, চাকরি সব ক্ষেত্রেই তাদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এই বাধা টপকাতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফারিহা হংকংয়ের প্রধান ভাষা ক্যান্টোনিস শেখাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন। ক্যান্টোনিস ছাড়াও তিনি একাধারে মান্দারিন, বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী ও ফিলিপিনো (তাগালগ) ভাষায় পারদর্শী। ফারিহার জন্ম হংকংয়ে। ২৫ বছর আগে তার বাবা চাকরিসূত্রে পরিবার নিয়ে হংকংয়ে পাড়ি জমান এবং সন্তানদের উন্নত জীবন দিতে সেখানেই বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন। বাবা-মার সঙ্গে ফারিহা কাউলুনের ইয়উ মা তেইয়ের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তার ১৫ বছরের একটি ভ...

মন্ত্রী হচ্ছেন ৮ আইনজীবী

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এবারের মন্ত্রীপরিষদে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ডাক পেয়েছেন ৮ জন আইনজীবী। নতুন মন্ত্রিসভায় এই আট আইনজীবীদের মধ্যে ৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ২ প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আজ রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে তাদের দফতরও বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত আইনজীবীদের মধ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া আটজন হলেন– সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ের। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। শ. ম রেজাউল করিম এই প্রথম এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী আনিসুল হককে দেওয়া হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তিনি এর ...

বিচারকদের পদোন্নতির যোগ্যতা শিথিল

জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির যোগ্যতা শিথিল করেছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে শীর্ষ তিন স্তরে বিচারকদের পদোন্নতির যোগ্যতা দুই বছরের জন্য শিথিল করে সম্প্রতি আইন ও বিচার বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়। যোগ্যতা শিথিল করতে ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা-বিধান এবং চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭’ তে সংশোধন আনা হয়েছে। এখন জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের অন্যান্য বিচারক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে এক বছরসহ মোট ১৩ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা পদে দুই বছরসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের অন্যান্য বিচারক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এখন যুগ্ম জেলা জজ পদে ছয় মাসসহ মোট ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আগে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হত যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরসহ মোট ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা। আগে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি পেতে হলে সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে দুই বছরসহ মোট সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞ...

ফের আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরই মধ্যে তাদের দফতরও বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। টানা দ্বিতীয় বারের মতো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হচ্ছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। আজ রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। ঘোষণা অনুযায়ী, পুরনো অনেক মন্ত্রী বাদ পড়েছেন মন্ত্রিসভায়। আবার নতুন অনেকেই স্থান পেয়েছেন টানা তৃতীয়বারের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভায়। আগামীকাল সোমবার (০৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভায় শপথের জন্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে ডাক পেয়েছেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। বাদ পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর ডা. দীপু মণি শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে ডাক পাওয়ায় বাদ পড়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। আর আইন মন্ত্রণালয়ের যথারীতি দায়িত্বে রয়েছেন আনিসুল হক; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও বহাল আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আর পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন বীর বাহাদুর উ শ...

পুলিশকে নিয়ম রক্ষার অনুমতিও নিতে হবে না!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পর থেকে সাংবাদিকসহ প্রায় সর্বমহল থেকে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আপত্তি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন ছাড়াই জাতীয় সংসদে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের আপত্তির মুখে আইন পাস হওয়ার আগে শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে একটি ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে কারও অনুমোদন ও পরোয়ানা ছাড়াই শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পুলিশের আপত্তির মুখে মাত্র এক দিনের মধ্যেই অনুমোদনের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এই ধারা অনুযায়ী, ‘যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে...

মানব পাচার ইউরোপে ঢোকার আগে ‘মৃত্যুফাঁদ’ দালালের মাধ্যমে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করা বাংলাদেশের ২৮০ নাগরিক এখন আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। তাঁরা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে সুদান, মিসর, আলজেরিয়া, দুবাই ও জর্ডান থেকে লিবিয়ায় জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেখানে ধরা পড়েন। ৬ আগস্ট লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। অথচ ২০১৫ সাল থেকে লিবিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। যাঁরা লিবিয়ায় গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের কারও পাসপোর্টেই ওই দেশটির ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপে যেতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দালালেরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করে। লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে পুরো টাকা আদায় করে দেশে থাকা দালালেরা। এরপর ওই ব্যক্তিকে লিবিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপণ বাবদ আরও কয়েক লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা চলে। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপে লোক পাঠাতে মানব পাচারকারীরা এখন লিবিয়াকে নিরাপদ রুট (পথ) হিসেবে ব্যবহার করছেন। দালালের মাধ্যমে যাওয়া বেশির ভাগ বাংলাদেশির চেষ্টা থাকে লিবিয়া থেকে নৌপথে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের দেশ ইতালি ও গ্রিসে ঢোকা। এ ছাড়া লিবিয়া হয়ে স্পেনে যাওয়ারও চেষ্টা করেন অনেকে। লিবিয়ার কারাগারে বন্দী বাংলাদেশিদের একজনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নে। নাম আশরাফুল আম্বিয়া। তাঁর ভাই আখলাকুল আম্বিয়া গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফুলকে স্পেনে পাঠানোর জন্য দালালদের সঙ্গে আট লাখ টাকার চুক্তি করেন তাঁরা। মে মাসে তাঁর ভাই দেশ ছাড়েন। এর এক মাস পর আশরাফুল লিবিয়া থেকে ফোন করে তাঁদের জানান, দালালেরা আরও তিন লাখ টাকা চায়। না দিলে তাঁকে মেরে ফেলবে। পরে চড়া সুদে টাকা ধার করে আরও দুই লাখ টাকা দেন দালালদের। সর্বশেষ গত ১ জুলাই দালালদের একজন জানায়, আশরাফুল কারাগারে। তাঁকে মুক্ত করতে আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছে দালালেরা। জকিগঞ্জ উপজেলার ৪৬ যুবক এখন লিবিয়ার কারাগারে রয়েছেন বলে জানান আখলাকুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের শাহিন আহমেদসহ কয়েকজন দালাল অনেক দিন ধরে ইউরোপে লোক পাঠানোর নামে এভাবে প্রতারণা করে আসছে। এ বিষয়ে শাহিন আহমেদের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে দুই দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে প্রথম আলো। তবে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জকিগঞ্জের ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, শাহিনকে এখন আর এলাকায় দেখা যায় না। দালালদের প্রতারণার শিকার জকিগঞ্জ উপজেলার আফতাব উদ্দিন। তিনিও লিবিয়ায় বন্দী। তাঁর ভাই আবদুছ ছামাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাইসহ সিলেটের যেসব যুবক এখন লিবিয়ায় বন্দী, তাঁদের মুক্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা। সিলেট ছাড়াও মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক যুবক ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে এখন হয় নিখোঁজ, নয়তো লিবিয়ার কারাগারে বন্দী রয়েছেন বলে জনশক্তি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। ওই যুবকদের মধ্যে মাদারীপুরের মুজিবুর রহমান ফরাজির ছেলেও রয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান কয়েক মাস আগে দালালদের মাধ্যমে তুরস্কে যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। এরপর আর ছেলের খবর পাচ্ছেন না। বিভিন্নজনের কাছে জানতে পেরেছেন, তাঁর ছেলেও লিবিয়ার কারাগারে রয়েছেন। লিবিয়ার কারাগার থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার কারাগারে যারা আটক আছে, তাদের নাম-ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠিয়েছি। আর যারা প্রতারণা করছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’ লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুসন্ধান লিবিয়া উপকূল থেকে ডিঙিতে করে ইউরোপে যাওয়ার পথে বাংলাদেশি নিখোঁজ ও আটক হওয়ার কয়েকটি ঘটনা নিয়ে ওই দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস অনুসন্ধান চালায়। এতে দেখা যায়, গত ১৭ জুন ও ২৩ জুন দুটি নৌকায় থাকা ১৪৬ যাত্রীকে আটক করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। পরে তাঁদের দেশটির অভিবাসন সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া ১৯ জুন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের একটি নৌকা সাগরে দুর্ঘটনায় পড়লে কিছু যাত্রী নিখোঁজ হন। লিবিয়ার উপকূল থেকে প্রতিবছরের মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত (সাগর অনেকটা শান্ত থাকে) ছোট নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। দূতাবাস সূত্র জানায়, দালালেরা ইউরোপে মানব পাচারের জন্য ঢাকা-আবুধাবি-শারজাহ-আলেকজান্দ্রিয়া-বেনগাজি (লিবিয়া)—এই আকাশপথ বেশি ব্যবহার করে। এরপর সড়কপথে বেনগাজি-ত্রিপলি-জোয়ারা এলাকায় যায়। সেখান থেকে জোয়ারা উপকূল দিয়ে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যায়। অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের লিবিয়া কিংবা তুরস্ক রুট ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ভূমধ্যসাগরের রুট ব্যবহার করে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়া নিরাপদ মনে করেন অনিয়মিত অভিবাসীরা। ইউরোপের দেশগুলোয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি এক লাখ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি ইউরোপের দেশগুলোয় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১৭ হাজার ২১৫ জন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে ১১ হাজার ৭১৫ জনের আবেদন বাতিল হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান চতুর্থ। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) বাংলাদেশ থেকে ইতালির অনিয়মিত অভিবাসনপ্রক্রিয়ার ওপর সম্প্রতি এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ থেকে ভূমধ্যসাগর ব্যবহার করে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর তালিকায় ২০১৭ সালের প্রথম ভাগে অবস্থান করে। মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের

ইউরোপে ঢোকার আগে ‘মৃত্যুফাঁদ’ দালালের মাধ্যমে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করা বাংলাদেশের ২৮০ নাগরিক এখন আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। তাঁরা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে সুদান, মিসর, আলজেরিয়া, দুবাই ও জর্ডান থেকে লিবিয়ায় জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেখানে ধরা পড়েন। ৬ আগস্ট লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দার আলী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। অথচ ২০১৫ সাল থেকে লিবিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার। যাঁরা লিবিয়ায় গিয়ে ধরা পড়েছেন, তাঁদের কারও পাসপোর্টেই ওই দেশটির ভিসা ছিল না। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপে যেতে আগ্রহী কোনো ব্যক্তির সঙ্গে দালালেরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার চুক্তি করে। লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে পুরো টাকা আদায় করে দেশে থাকা দালালেরা। এরপর ওই ব্যক্তিকে লিবিয়ায় আটকে রেখে মুক্তিপণ বাবদ আরও কয়েক লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা চলে। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপে লোক পাঠাতে মানব পাচারকারীরা এখন লিবিয়াকে নিরাপদ রুট (পথ) হিসেবে ব্যবহার করছেন। দালালের মাধ...

মানহানি সম্পর্কিত ধারা।

ধারা ৪৯৯। মানহানি ধারা ৫০০। মানহানির শাস্তি, ধারা ৪৯৯। মানহানি যে ব্যক্তি এইরূপ অভিপ্রায়ে বা এইরুপ জানিয়া বা এইরুপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকা সত্ত্বেও কথিত বা পাঠের জন্য অভিপ্রেত শব্দাবলী বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে কোন ব্যক্তি সম্পর্কিত কোন নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে অনুরূপ নিন্দাবাদ অনুরূপ ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করিবে, সেই ব্যক্তি অতঃপর ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতিত উক্ত ব্যক্তির মানহানি করে বলিয়া গণ্য হইবে। ধারা ৫০০। মানহানির শাস্তিঃ যে ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির মানহানি করে সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ দুই বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।

সপরবিারে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহজ ধাপ।

স্নাতক পাশ এবং এক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে CANADA- তে।দেরি না করে আজই চলে আসুন আমাদের Migration Specialist– দের কাছে। এছাড়া আমরা Express Entry, Provincial Nominee Program, Student Visa, Visit visa নিয়ে কাজ করে থাকি। কেন SMGEC আপনার জন্য একটি নির্ভ্রযোগ্য প্রতিষ্ঠান? *** Eligibility test করার পর, File Process, শুরু করা হয়। *** অল্পসময়ের মধ্যে Profile Submit করা হয়। *** দক্ষ এবং Migration specialist দারা File processing করা হয় *** Free Unlimited IELTS Class এবং Required Materials দেয়া হয়। *** Canadian Government Fee প্রদান করা জন্য ক্রেডিট কার্ডের সহায়তা করা হয়। *** Profile Complete সম্পূর্ন্ করার পর, Client কে দিয়ে Re-view করানো হয়। *** একই খরচে PNP Program গুলোতে করা হয়। বিস্তারিত জানার জন্যে আমাদের অফিস ভিসিট করুন। SM Global Education Consultancy Level#09, Hoque Chamber 89/2 West Panthapath, Dhaka-1215 www.smgec.net Email : smgeconsultancy@gmail.com  01777027825

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: কোথায় যাবেন

ডিএমপির সদর দপ্তরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সেন্টারে সবসময় প্রস্তুত আছে একঝাঁক পুলিশ সদস্য। যারা এ সংক্রান্তে কাজগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত নাগরিকগণ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সরাসরি যোগাযোগ করুন। ডিএমপি সদর দপ্তর, কক্ষ নং-১০৯, হেল্প লাইনঃ- ০১১৯১-০০৬৬৪৪ এবং ০২-৭১২৪০০০। প্রদেয় সেবা সমূহ ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা এলাকার নাগরিকগণের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ০১ (এক) সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করা হয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ কর্তৃক সত্যায়িত করে দেওয়া হয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রার্থীর চাহিদামতে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ০৯ টা হইতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত সেবা প্রদান করা হয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হলে যা করতে হবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর সাদা কাগজে আবেদন পত্রের সাথে যা যা লাগবে- পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (অবশ্যই ১ম শ্রেণীর সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে), বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের য...

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বা আসামীর আইনি অধিকার

‘গ্রেপ্তার ‘ শব্দটি প্রতিদিন প্রত্রিকার পাতায় টেলিভিশনের খবরে আমরা পড়ি এবং দেখি। ব্যাক্তিগত, পারিবারিক বা ব্যবসায়িক, সামাজিক সহিংসতার পাশাপাশি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকান্ড সহ নানা কারনে গ্রেপ্তার শব্দটা আমাদের জীবনে প্রতিদিনকার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। আত্বীয়- স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী- পরিচিতজন কিংবা আপনি নিজে গ্রেপ্তার হতে পারেন যে কোন সময় । একজন ব্যাক্তি যে কারণেই গ্রেপ্তার হউক না কেন সে আইনগতভাবেই অনেক অধিকার পাবেন। কিন্তু বাস্তবতা হল আইন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ছাড়া অনেকই এই অধিকার সমূহ সম্পর্কে তেমন কিছু সঠিকভাবে জানেন না বললেই চলে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যাদের আইন সম্পর্কিত ধারণা কম। যার ফলে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন এবং বিভিন্ন ঝক্কিঝামেলা, হয়রানি, বিড়ম্বনা নির্যাতন, নিপীড়ন, আত্যাচার, জুলুমের স্বীকার হন। আশা করি এই আলোচনাটি নানানরকম ধোয়াঁশা কাটিয়ে অন্তত কিছুটা হলেও সেইসব অধিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন যদি মনযোগ সহকারে পড়েন। তবে এই লেখায় আমি গ্রেপ্তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলব না। শুধুমাত্র একজন গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির আইনগত অধিকার সমূহ আলোচনা করব। আমাদের দেশের বিদ...

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কি?কিভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা হয়?

Specific Relief Act / সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন একটি Substantive law, প্রতিকার মূলক বা তত্ত্ব গত আইন। এই আইনটি ১৮৭৭ সালে পাশ করা হয়। যা  সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ নামে পরিচিত। এই আইনটি  ১৮৭৭ সালের ১নং আইন,যা ১লা মে, ১৮৭৭ থেকে  বলবৎ করা হয়। এই আইনের ৫৭ ধারা থাকলেও ইতিমধ্যে ৮টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কি? সুনির্দিষ্ট প্রতিকার এমন এক ধরনের প্রতিকার যা, দেওয়ানি আদালতে চাওয়া হয় এবং দেওয়ানী আদালত তা মঞ্জুর করে থাকে। এই ধরনের প্রতিকারের ক্ষেত্রে, চুক্তিভুক্ত কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বা কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য আদালত কতৃক বাধ্য করা হয়। অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে চুক্তিভুক্ত কোন কাজ করার জন্য আদালত কর্তৃক  বাধ্য করা হয় তখন তাকেই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বলে। কিভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা হয়? এই আইনের মাধ্যমে ৫ টি উপায়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা  হয়ে থাকে। এই আইনের ধারা-৫ তে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ধারা-৫ তে বলা হয়েছে, ১। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির সম্পত্তি জবরদখল করে তাহলে তার দাবীদার কে উক্ত সম্পত্তি অর্পনের মাধ্যম...

নারী অধিকার সংক্রান্ত আইন, নীতিমালা ও আমাদের সংবিধান

নারী অধিকার মানবাধিকার থেকে ভিন্ন কিছু নয়। মানবাধিকারের সব বিষয়গুলোই নারী অধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অধিকন্তু নারীদের জন্য আছে আরো কিছু অধিকার যা একান্তভাবে নারীকে তার নিজস্ব মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচতে শেখায়। নারী অধিকার এমন একটি বিষয় যা সব বয়সের নারীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। তবে, এ অধিকারের মধ্যে কিছু অধিকার সর্বজনীন ও কিছু অধিকার বিশেষায়িত। বিশেষায়িত অধিকারগুলো আইন, আঞ্চলিক সংস্কৃতি, প্রতিষ্ঠান, জাতি ও রাষ্ট্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ অধিকারগুলো সামাজিক কর্মকাণ্ড ও রীতি দ্বারা সিদ্ধ হতে পারে। তবে, যেভাবেই দেখিনা কেনো, নারীর এ অধিকারগুলো নারীকে তার আপন সত্তায় উদ্ভাসিত করে। মানবাধিকারের যে শাখাটি নিয়ে সারাবিশ্বেই তোলপাড় তা হলো নারী অধিকার। নারী অধিকার নিয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আইন রয়েছে, রয়েছে আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ। জাতীয় গণ্ডির ভিতরে প্রায় প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব আইন আছে। সেই আইন কখনো সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত আবার কোথাও বিশেষ আইন দ্বারা স্বীকৃত। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নারী অধিকার রক্ষায় গৃহিত হয়েছে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও)। বাংলাদেশসহ পৃ...