Specific Relief Act / সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন একটি Substantive law, প্রতিকার মূলক বা তত্ত্ব গত আইন। এই আইনটি ১৮৭৭ সালে পাশ করা হয়। যা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ নামে পরিচিত। এই আইনটি ১৮৭৭ সালের ১নং আইন,যা ১লা মে, ১৮৭৭ থেকে বলবৎ করা হয়। এই আইনের ৫৭ ধারা থাকলেও ইতিমধ্যে ৮টি ধারা বাতিল করা হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার কি?
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার এমন এক ধরনের প্রতিকার যা, দেওয়ানি আদালতে চাওয়া হয় এবং দেওয়ানী আদালত তা মঞ্জুর করে থাকে। এই ধরনের প্রতিকারের ক্ষেত্রে, চুক্তিভুক্ত কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বা কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য আদালত কতৃক বাধ্য করা হয়। অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে চুক্তিভুক্ত কোন কাজ করার জন্য আদালত কর্তৃক বাধ্য করা হয় তখন তাকেই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার বলে।
কিভাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা হয়?
এই আইনের মাধ্যমে ৫ টি উপায়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা হয়ে থাকে। এই আইনের ধারা-৫ তে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ধারা-৫ তে বলা হয়েছে,
১। কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির সম্পত্তি জবরদখল করে তাহলে তার দাবীদার কে উক্ত সম্পত্তি অর্পনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যায়।
২। যে কাজ করার জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেই কাজ করার আদেশ প্রদান করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রধান করা যাবে।
৩। যে কাজ না করার জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেই কাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যেতে পারে।
৪। ক্ষতিপূরণের রায় প্রদান করা ব্যতিত অন্য যে কোন অধিকার নিরুপ্ন করা ও ঘোষনা করার মধ্যমে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যেতে পারে।
৫। একজন রিসিভার বা তত্তাবধাতক নিয়োগের মাধ্যমে আদালত কর্তৃক সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যেতে পারে।
সাধারণত সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন,১৮৭৭ অনুসারে এই উপায়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যায়। এই ধরনের প্রতিকার প্রদান করা আদালতে স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বা বিবেচনা মূলক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এছাড়াও এই আইনের মাধ্যমে দলিল বাতিল (৩১-৩৪) ও সংশোধন (৩৯-৪১) করার মাধ্যমেও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার প্রদান করা যায়।
Comments
Post a Comment