Skip to main content

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: কোথায় যাবেন

ডিএমপির সদর দপ্তরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সেন্টারে সবসময় প্রস্তুত আছে একঝাঁক পুলিশ সদস্য। যারা এ সংক্রান্তে কাজগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত নাগরিকগণ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সরাসরি যোগাযোগ করুন। ডিএমপি সদর দপ্তর, কক্ষ নং-১০৯, হেল্প লাইনঃ- ০১১৯১-০০৬৬৪৪ এবং ০২-৭১২৪০০০।

প্রদেয় সেবা সমূহ

ঢাকা মেট্রোপলিটন থানা এলাকার নাগরিকগণের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ০১ (এক) সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করা হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’ কর্তৃক সত্যায়িত করে দেওয়া হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রার্থীর চাহিদামতে কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ০৯ টা হইতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত সেবা প্রদান করা হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হলে যা করতে হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর সাদা কাগজে আবেদন পত্রের সাথে যা যা লাগবে-

পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (অবশ্যই ১ম শ্রেণীর সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত হতে হবে),
বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখা হতে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা মুল্যমানের ট্রেজারি চালান- চালানের কোড নাম্বার (১-২২০১-০০০১-২৬৮১),
পাসাপোর্টের স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানা যেকোনো একটি অবশ্যই ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ওই ঠিকানায় অবস্থান করতে হবে।
যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়িত থাকতে হবে।

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে (এম.আর.পি) যদি ঠিকানা উল্লেখ না থাকে সেক্ষেত্রে পাসপোর্টে যে স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের সনদপত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দখিল করতে হবে।

স্পেনে যাওয়ার জন্য যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার আবেদন করবেন তারা সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবর উল্লেখিত কাগজপত্রসহ তাদের আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা-০৩ এ দাখিল করতে হবে।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর প্রদত্ত টোকেনটি ডেলিভারির দিন অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর অত্র অফিস হতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

যাদের পাসপোর্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের ঠিকানা দেওয়া আছে তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা বরাবর উল্লেখিত কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে।

আবেদনের নমুনা কপি–

বরাবর
পুলিশ কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা।

বিষয়ঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন।

জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারীর এই মর্মে আবেদন করিতেছি যে, আমি/ আমার … … … … … … … … … … এর বিদেশ যাওয়া/ স্থায়ীভাবে বসবাস করার … … … … … … … … … … জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের প্রয়োজন। আমি/আমার … … … … … … … … … … এর পাসপোর্ট অনুযায়ী বৃত্তান্ত নিম্নরূপ নাম… … … … … … … … … … পিতা/স্বামী … … … … … … … … … … ঠিকানা … … … … … … … … … …পাসপোর্টের নম্বর… … … … … … … … … ইস্যুর তারিখ… … … … … … … … … … মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ… … … … … … … … … … ..স্থান … … … … … … …

অতএব, মহোদয়ের নিকট আবেদন এই যে, আমি যাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে মর্জি হয়।

তারিখ-

সংযুক্ত:
১। পাসপোর্টের ফটোকপি (সত্যায়িত)
২। ব্যাংক চালানের মূলকপি।

বিনীত নিবেদক
… … … … … …
ঠিকানা:-… … …. …
ফোন নং…. … … … .

Comments

Popular posts from this blog

ফৌজদারি মামলা ?

কোন আদালতে ফৌজদারি মামলা পরিচালিত হয়? √সাধারন ভাষায় কোন ব্যক্তিকে যখন মারামারি, চুরি,ডাকাতি,খুন, যখম, প্রতারনা, দস্যুতা, রেইপ, অপহরণ, বে-আইনি সমাবেশ, ইভ-টিজিং , জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্যদান প্রভুতি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্বে মামলা দায়ের করা হয় তাকে বলে ফৌজদারি মামলা ক্রিমিনাল কেস। পেনাল কোডে অপরাধ এবং এর শাস্তির পরিমাণ উল্লেখ আছে কিন্তু কিভাবে অপরাধিকে শাস্তি দেয়া হবে তার কথা উল্লেখ আছে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ বা ফৌজদারি কার্যবিধিতে। ব্যাপক ভাবে ক্রিমিনাল আদালত তিনভাগে বিভক্ত: (ধারা-৬) ব্যক্তির অধিকার ও সম্পত্তির অধিকার ব্যতিত যেকোনো অপরাধ ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় রাজনৈতিক হাঙ্গামা, ব্যক্তির জীবন হরণ, অর্থসম্পদ লুটপাট ও যৌন হয়রানির অপরাধে ফৌজদারি মামলার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এক কথায় চুরি, ডাকাতি, খুন, জখম, প্রতারণা, দস্যুতা, লুটপাট, বিস্ফোরণ, ধর্ষণ, অপহরণ, বেআইনি সমাবেশ, যৌন হয়রানি, জালিয়াতি, মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান প্রভৃতি অপরাধে যেসব মামলা দায়ের করা হয় তাকে ফৌজদারি মামলা বলা হয়। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে জেল জরিমানা...

প্লাস্টিকের পাত্রে গরম চা হয়ে ওঠে বিষাক্ত খাবার!

আমাদের আড্ডায় অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে চা-কফি। রাস্তার পাশের ছোট চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রেস্তোরায় চা-কফির পেয়ালা হিসেবে প্লাস্টিকের তৈরি ওয়ানটাইম গ্লাস বেশ জনপ্রিয়। চা কফি, গরম স্যুপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন তরল খাবার আমরা খেয়ে থাকি এই সব প্লাস্টিক সামগ্রিতে। ক্রেতারা নিজের মতো বহন করতে পারেন, আর বিক্রেতারা সহজলভ্যতার কারনে এসব প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ক্ষতিকারক দিকটি জানা আছে কি? চিকিৎসকরা বলছেন এই প্লাস্টিকের সামগ্রীতে গরম তরল খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ থেকে অনেক জটিল জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। প্লাস্টিকের পাত্রে গরম খাবার খাওয়া একদমই ঠিক না। হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকী, স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রানু কমে যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা বিসফেনল-এ নামের টক্সিক এ ক্ষেত্রে বড় ঘাতক। গরম খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ওই রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মেশে। এটি নিয়মিত শরীরে ঢুকলে মহিলাদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হয়। প্লা...

পুলিশ পেট্রোল বা পুলিশ টহল কত প্রকার ও কি কি?

পেট্রোল ডিউটি পুলিশ অফিসারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিউটি। পুলিশ পেট্রোল ডিউটিকে সাধারণ ৮ ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এ গুলোর বর্ণনা করা হলোঃ ১। ফুট পেট্রোলঃ পায়ে হেঁটে নির্ধারিত স্থানে পাহারা দেয়াকে ফুট পেট্রোল বলে। ২। মোবাইল পেট্রোলঃ গাড়ীতে চড়ে নির্দিষ্ট এলাকা পাহারা দেয়াকে মোবাইল পেট্রোল বলে। ৩। বোট পেট্রোলঃ নৌকা, লঞ্চ বা স্পীড বোটে চড়ে নদী বা হাওরে পাহারা দেয়াকে বোট পেট্রোল বলে। ৪। ফিক্সড পেট্রোলঃ রাস্তার সংযোগস্থলে, হাটে, বাজারে, রেলস্টেশন ইত্যাদি স্থানে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়াকে ফিক্সড পেট্রোল বলে। ৫। ব্লক পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট স্থান ঘেরাও করে ঐ স্থানের জনগণের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে ব্লক পেট্রোল বলে। ৬। এ্যাম্বুস পেট্রোলঃ কোন নির্দিষ্ট এলাকায় গোপনভাবে চুপচাপ বসে থেকে পথিকের গতিবিধি লক্ষ্য করাকে এ্যাম্বুস পেট্রোল বলে। ৭। ক্লক ওয়াইজ ও এন্টি ক্লক ওয়াইজ পেট্রোলঃ ঘড়ির কাটা যেভাবে ঘোরে ঐভাবে যথা “ক” সেন্টার হতে এক পার্টি পেট্রোল করতে করতে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌছবে এবং ঐ পার্টি পথিমধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি পেলে চ্যালেঞ্জ করবে ও প্রয়োজনে গ্রেফতার করবে। অন্য কোন পার্টি ঐ “ক” স...